বাংলাদেশের পাহাড়ে আজও ন্যায়বিচার যেন এক অদৃশ্য স্বপ্ন। ৫০৫ দিন—এত দীর্ঘ সময় ধরে নিরীহ বম আদিবাসীরা বিনা বিচারে বন্দী। অপরাধ প্রমাণিত হয়নি, তবু তারা কারাগারে। কারও মৃত্যু হয়েছে জেলের ভেতর, কারও কণ্ঠরোধ হয়েছে চিকিৎসাহীনতার কারণে।

এই অন্যায় আর সহ্য করতে পারেননি চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়। রাজকীয় মর্যাদার সীমা ভেঙে তিনি হাতে তুলেছেন প্রতিবাদের প্ল্যাকার্ড। এই দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, ঝড় তুলেছে মানুষের মনে। ঘণ্টায় শত শত শেয়ার হচ্ছে। হাজারো চোখে একটাই প্রশ্ন—এই দেশে আদিবাসীদের জন্য ন্যায়বিচার কোথায়?

রাজার এই নীরব প্রতিবাদ কেবল একটি ছবি নয়, এটি পাহাড়ের অদৃশ্য কান্নার প্রতিধ্বনি। তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন রাজা কেবল নিজের জনগোষ্ঠীর নয়, পাহাড়ের প্রতিটি আদিবাসীর জন্য দাঁড়াতে পারেন। তিনি আরেকবার জানিয়ে দিলেন, পাহাড়ের মাটি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বম—সবাইয়ের রক্তে রঙিন। তিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না।

রাষ্ট্রের প্রতি মানুষের তীব্র প্রশ্ন জাগছে, কেন বিনা বিচারে ৫০৫ দিন? কেন একজন রাজাকে মানবাধিকার রক্ষার জন্য সাইনবোর্ড হাতে দাঁড়াতে হয়? পাহাড়ের মানুষ কি নাগরিক নয়? তাদের অধিকার কি রাষ্ট্রের বাইরে পড়ে আছে? আর যদি তারা দোষী না হয়, তবে এই দীর্ঘ অপেক্ষা, মৃত্যু এবং যন্ত্রণার দায় কে নেবে?

সরকার কি শুনবে এই নীরব চিৎকার?
৫০৫ দিন ধরে ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় থাকা বমরা কি মুক্তি পাবে?
মানবাধিকার কি কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি পাহাড়ের প্রতিটি হৃদয়ে আলো ছড়াবে?

মহামান্য রাজার কণ্ঠে যে প্রতিবাদ জ্বলে উঠেছে, তা শেয়ার হোক হাজারে হাজারে—বিশ্ব জানুক, আমরা রাজার পাশে আছি, তার সঙ্গে লড়ছি। দয়া করে তার ফেসবুক প্রোফাইলে যান, তার পোস্ট শেয়ার করুন।

পাহাড়ে যে অন্যায় চলছে, তার বিরুদ্ধে যদি আমাদের রাজা প্লেকার্ড ধরে দাঁড়াতে পারেন, তবে আমরা কেন চুপ করে থাকব? আসুন, প্রতিবাদের ঝড় তুলুন পাহাড়ের প্রতিটি কোণে।